চট্টগ্রাম মৎস্য বন্দরের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
১৯৬৬-৬৭ সালে চট্টগ্রাম জেলার কর্ণফুলি নদীর দক্ষিণ তীরের ইছানগরে ১২১.৪২ একর জায়গা জুড়ে মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প নির্মাণের কাজ শুর হয় এবং ১৯৭৩ সালে জাপান সরকারের কারিগরি সহায়তায় চট্টগ্রাম মৎস্য বন্দর একটি পূর্ণাঙ্গ মৎস্য বন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে যা বাংলাদেশের একমাত্র মৎস্য বন্দর।
চট্টগ্রাম মৎস্য বন্দরের অবদান
- FAO এর সহযোগিতায় বঙ্গোপসাগরে মৎস্য সম্পদের উপর চট্টগ্রাম মৎস্য বন্দর কর্তৃক ১৯৬৬ হতে ১৯৭২ সন পর্যন্ত জরিপের মাধ্যমে সাউথ প্যাচেজ, এলিফ্যান্ট পয়েন্ট, ইষ্ট অব সোয়াচ অব নো গ্রাউন এবং সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড নামক ০৪ টি বাণিজ্যিক মৎস্য আহরণ ক্ষেত্র শনাক্ত করা হয়।
- ১৯৭২ সনে তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়া কর্তৃক বাংলাদেশ সরকারকে উপহার দেয়া ১০টি ফিশিং ট্রলারের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে ১ম বারের মত সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ শুরু এবং সারাদেশে বাজারজাতকরণ;
- কাঠের পাল তোলা দেশীয় নৌকা যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে সমুদ্রে মৎস্য শিকারের গোড়াপত্তন;
- বাংলাদেশে ১ম বারের মত নাইলন সূতার জাল প্রচলন এবং জাল কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে এ শিল্পের বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা পালন;
- মৎস্য খাতে দেশীয় দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালে ০১ টি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপন যা বর্তমানে “মেরিন ফিশারিজ একাডেমি” নামে প্রতিষ্ঠিত;
- নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রক্রিয়াজাত মাছ বিদেশে রপ্তানি করে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের উৎসাহ প্রদান;
- মৎস্য ট্রলার ও অন্যান্য নৌযান মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি সেক্টরে সেবা প্রদান ।
চট্টগ্রাম মৎস্য বন্দরের সেবাসমূহ
- মৎস্য অবতরণ
- মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ
- মৎস্য ট্রলার/জাহাজ ডকিং/আন ডকিং ও বার্থিং সুবিধা প্রদান
- মৎস্য ট্রলার/জাহাজ/পন্টুন নির্মাণ ও মেরামতকরণ
- জাল মেরামত/গোডাউন সুবিধা প্রদান
- ট্রলার বহর পরিচালনা
- মৎস্য ট্রলারে সুপেয় পানি সরবরাহ
- মৎস্য শিল্প প্রতিষ্ঠার জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা
মৎস্য সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কার্যক্রম
- ০৫ টি ফ্রোজেন স্টোরের (৩৫০ মে. টন ১টি ও ৫০ মে. টন ০৪টি) মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে হিমায়ন ও সংরক্ষণ সুবিধা প্রদান
- ০৩ টি ব্লাস্ট (৫ মে. টন ২টি ও ৩ মে. টন ১টি) ফ্রিজারের মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে হিমায়ন সুবিধা প্রদান
মৎস্য শিল্পের বিস্তৃতির লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি পার্যায়ে নতুন নৌযান তৈরি, নৌযান মেরামত ও ডকিং এর জন্য আধুনিক শিপইয়ার্ড সুবিধা প্রদান
- স্লিপওয়ে - ০৪ টি (২৫০টন, ৩৫০ টন ও ১২০০টন - ২টি)
- মেরিন ওর্য়াকশপ - ০১ টি
- সিএনসি ভেন্ডিং এন্ড কাটিং শপ - ০১টি
- গ্যান্টি ক্রেন - ০১টি
- এস্কভেটের, মোবাইল ক্রেন ও র্কাটটোয়ার
বার্থি সেবাসমূহ
- ফিশিং ট্রলার/টাগবোট/ওয়েল ট্যাংকার/ড্রেজার/পন্টুন ডকিং ও মেরামত
- নতুন করে ট্রলার, টাগবোট, ওয়েল ট্যাংকার, ড্রেজার ও পন্টুন নির্মাণ
মাল্টিচ্যানেল স্লিপওয়ে ডকইর্য়াড
২৫ এপ্রিল ২০১৯খ্রিঃ তারিখে মাল্টিচ্যানেল স্লিওেয়ে এন্ড ডকইয়ার্ডের শুভ উদ্বোধন করা হয়।
- প্রকল্প ব্যয় ৪২.৭৮কোটি(সরকারি ঋণ)
- ডকইয়ার্ডটিতে ২০০মটিার দর্ঘ্যৈ বিশিষ্ট ২টি স্লিপওয়ে আছে।
- প্রতিটির ধারণ ক্ষমতা ১২০০ টন
- ৪-৬ টি জাহাজ ডকিং করা যায়
- জাহাজ / পন্টুন এর মেরামত কার্য চলমান রয়েছে।
চট্টগ্রাম মৎস্য বন্দর বেসিন
- ১৯৭৩ সালে নির্মাণ করা হয় যার আয়তন ০৮ একর (২,৭৫,০০০ বর্গফুট)
- যাতে বিভিন্ন আকারের ৭০-১০০ টি ফিশিং ট্রলার বার্থি এর সুযোগ রয়েছে
টি-হেড জেটি বার্থি
- 2 টি-হেড জেটিতে বিভিন্ন দৈঘ্যের 20 টি জাহাজ বার্থিং সুবিধা প্রদান, বিদ্যুৎ সুবিধা প্রদান ও সুপেয় পানি সুবিধা প্রদান সুবিধা রয়েছে।
কমান্ডার মোহাম্মদ মাজহারুল হক, (জি), বিএন, মহাব্যবস্থাপক, চট্টগ্রাম মৎস্য বন্দর।
চট্টগ্রাম মৎস্য বন্দর ওয়েবসাইট